উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে ১৪ কোটি মোবাইল ফোন দিয়েছেন৷ তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও দেখে যদিও অনেকে ভেবেছেন সবাইকেই বিনামূল্যে একটি করে মোবাইল দেওয়া হয়েছে৷ তবে বেশিরভাগ পাঠকই কিন্তু এই বক্তব্যের অর্থ ঠিকই বুঝেছেন৷
যেমন আবুল বশার, রাজু মিয়া, মোজাম্মেল হক, আলাউদ্দিন রাসেল, আলগীর হোসেন, শাহ জানান সুমন, মো আশরাফ জানতে চেয়েছেন তাঁদের মোবাইল কোথায় গেল? তাঁরা তো এখনো পাননি৷
পাঠক সাহাদাত লিখেছেন, ‘‘আমারটাও কিন্তু আমি পাইনি, তাই মন খারাপ৷ কিছুই ভালো লাগে না ,সারাক্ষণ মন খারাপ থাকে৷ হতাশায় ভুগি আমার ভাগের মোবাইলটার জন্য৷''
আর বিনে পয়সায় মোবাইল পাওয়া নিয়ে পাঠক কাকন প্রবীর রসিকতা করেছেন এভাবে, ‘‘ভাই, আমাকে যখন দিতে দেরি করেছেন, তাহলে আমি কিন্তু আইফোন ছাড়া নেবো না৷''
-
শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না!
মোবাইল ফোন থেকে শিশুদের দূরে রাখুন, কারণ...
খুব বেশি কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যবহারের ফলে শিশুদের মধ্যে আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়৷ ‘আপনার শিশুকে আচরণগত সমস্যার ঝুঁকি থেকে দূরে রাখতে চাইলে ওর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না! এভাবেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায়৷ গবেষণাটি করেছে জার্মানির লাইপজিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল৷
-
শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না!
স্মার্টফোন বা মোবাইল কিন্তু বেবিসিটারের বিকল্প নয়!
অনেক মা-বাবা শিশুকে ব্যস্ত বা শান্ত রাখতে হাতে মোবাইল দিয়ে রাখেন৷ নিজেদের সুবিধা বা আরামের ফল পরবর্তীতে ভয়ঙ্কর হতে পারে৷ বিশেষ করে একেবারে ছোট বয়সে মোবাইল হাতে দিলে শঙ্কাটা বেশি৷
-
শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না!
নিজেরাই পরীক্ষা করুন
যে শিশু নিয়মিত মোবাইল ব্যবহার করে, তাকে কয়েকদিন মোবাইল থেকে দূরে রাখুন৷ তার আচরণের পরিবর্তনটুকু নিজেরাই বুঝতে পারবেন৷ তবে প্রথম দিকে একটু অসুবিধা হবে, যা একেবারেই স্বাভাবিক৷
-
শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না!
বয়স যখন সাত
তবে ৭ বছর বয়সের শিশুদের দিনে আধ ঘণ্টা মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টিভি বা ট্যাবলেট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷
-
শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না!
ইলেকট্রনিক মিডিয়া শিশুদের জন্য অতি দ্রুত
গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায় যে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ছোট শিশুদের জন্য এতটাই দ্রত যে, ছবি ও তথ্যের প্রক্রিয়া ধরতে ও বুঝতে গিয়ে শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি বিরক্ত হয়ে নার্ভাস হয়ে যায় বা ঘাবড়ে যায়৷ এর রেশ থেকে যায় পরেও৷
-
শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না!
বই পড়ার উপকার
একটি শিশু যখন একটি বই পড়ে বা ছবির বই দেখে, তখন কিন্তু সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কখন সে বইয়ের পাতা উল্টাবে৷ অর্থাৎ, শিশুটি তখন তার নিজের গতিতে চলতে পারে৷ ফলে তাকে তাড়াহুড়ো করতে হয় না৷
-
শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেবেন না!
স্মার্টফোনের বদলে বাইরে খেলতে দিন
শিশুরা মুক্ত বাতাসে খেলাধুলা করে যে প্রচুর আনন্দ পায়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ একটি শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকার জন্য মুক্ত হাওয়া যেমন প্রযোজন, তেমনি প্রয়োজন মুক্ত পরিবেশ৷ তবেই সে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে পারে৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
অন্যদিকে মামুন আফসারের প্রশ্ন, ‘‘আমি আগেরবার পাইনি৷ আচ্ছা, পরেরবার কখন দেবে, কেউ কি জানেন ?''
এদিকে মোজাম্মেল হক আরো মজা করে লিখেছেন, ‘‘আশা করি, ভোটের আগে আমারটা পেয়ে যাবো!''
তবে ফেবুকে পাঠকরা ডয়চে ভেলে থেকে তাঁদের প্রশ্নের মজার মজার উত্তর পেয়ে বেশ খুশি৷ যেমন, পাঠক মাহমুদুর রহমান লিখেছেন, ‘‘সচরাচর নিউজ পোর্টালগুলোর পেজ নিউজ শেয়ার করে অসার হয়ে বসে থাকে৷ ডয়চে ভেলের অ্যাডমিন প্যানেল পাঠকদের কমেন্টের রিপ্লাই দেয়৷ ভালো উদ্যোগ, ধন্যবাদ৷''
ফারহান আহমেদের মন্তব্য, ‘‘এখানে দুর্নীতি হয়েছে মনে হচ্ছে৷ ১৪ কোটি মোবাইলের মধ্যে আমারটা পাই নাই৷ আমারটা কি অন্য কেউ নিয়ে নিলো?''
আমিনুল ইসলাম আপন বলছেন , ‘‘ডয়েচ ভেলের এই নিউজ ভাইরাল৷''
তবে পাঠক মেনন রাশেদ কিন্তু সত্যিই সিরিয়াস৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ভয়চে ডেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার মোবাইলটা কি করলে পেতে পারি একটু জানাবেন, প্লিজ ?''
অন্যদিকে মোবাইল দেবে জেনে খুবই খুশি পাঠক আশিকুর রহমান শাওন৷ তবে তিনি কিন্তু কিছুটা সন্দিহান, মনে হয় তিনিও মজা করেই লিখেছেন, ‘‘ভাই, আমি এবং আমার পরিবারের কেউ পাইনি৷ নাকি আদমশুমারিতে আমাদেরকে গননা করা হয়নি?''
তবে মিরু পাটোয়ারী লিখেছেন,‘‘মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এত বড় একটা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কথাবার্তা একটু হুশ করে বলা উচিত৷''
তবে ভীষণ মজা পেয়েছেন পাঠক রানা আহমেদ৷ তিনি এ বিষয়ে লেখা সবগুলো কমেন্ট আর ডয়চে ভেলে থেকে দেয়া উত্তরগুলো ভালো করে পড়ার অনুরোধ করে লিখেছেন, ‘‘আমি এত মজা কোনো ফানি ভিডিও দেখে পাইনি৷ লাভ ইউ, ডয়চে ভেলে৷ আপনাদের সাহস আছে বলতে হবে৷''
-
মোবাইল দুনিয়ায় নতুন প্রবণতা
ব্যক্তিগত ইমোজি
লেখার পাশাপাশি বার্তায় ইমোজি পাঠানোর প্রবণতা নতুন নয়৷ এবার স্যামসাং কোম্পানির এস৯ মডেলে অগমেন্টেড রিয়ালিটি প্রযুক্তির মাধ্যমে যে কেউ নিজের ‘অবতার’ তৈরি করতে পারে৷ ফলে বার্তার মধ্যে আপনারই ‘জীবন্ত’ অবতার ইমোজির মতো নানা অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলছে৷
-
মোবাইল দুনিয়ায় নতুন প্রবণতা
গোপন ক্যামেরা
চীনের হুয়াওয়েই কোম্পানি বার্সেলোনায় স্মার্টফোনের কোনো নতুন মডেল তুলে না ধরলেও তাদের নতুন ট্যাবলেট ও ল্যাপটপ কম্পিউটারে একটা চমক দেখা গেল৷ কিবোর্ডের এফ৬ ও এফ৭ বোতামের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে ওয়েবক্যাম৷
-
মোবাইল দুনিয়ায় নতুন প্রবণতা
কৃত্রিম হাসি কি ক্রেতা টানবে?
এই হিউম্যানয়েড রোবটের নাম পেপার৷ তাকে নাকি ‘আকর্ষণীয় ও ভালোবাসার যোগ্য’ করে তৈরি করা হয়েছে৷ শেখানো বুলি ও মুখের অভিব্যক্তির সাহায্যে এবারের মেলায় সে জুতা বিক্রির চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু সেই হাসি দেখে কি সত্যি বিক্রি বাড়বে?
-
মোবাইল দুনিয়ায় নতুন প্রবণতা
মেঘের কোলে মাথা
‘মেসেজবার্ড’ কোম্পানি ক্লাউড-ভিত্তিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনছে৷ তাই মেলায় তাদের স্টলে মেঘের সাজ৷ গুগল ও উবার কোম্পানিও তাদের গ্রাহক৷ ক্লাউড প্রযুক্তির গুরুত্ব বেড়েই চলেছে৷ সম্প্রতি ৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে এই কোম্পানি৷
-
মোবাইল দুনিয়ায় নতুন প্রবণতা
রোবট যখন শিল্পীর হাত
এই হিউম্যানয়েড রোবট পর্দার উপর আঁকতে পারে বটে, কিন্তু এখনো তাকে মোটেই শিল্পী বলা চলে না৷ জাপানের এনটিটি ডোকোমো কোম্পানির এই রিমোট কনট্রোলড রোবট ৫জি প্রযুক্তির সাহায্যে তার চালকের নড়াচড়া হুবহু নকল করতে পারে৷ তার আঁকা ছবির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব এখনো কাটেনি৷
-
মোবাইল দুনিয়ায় নতুন প্রবণতা
ভার্চুয়াল অ্যাডভেঞ্চার
মনোরঞ্জন শিল্পের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রযুক্তির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷ চোখের ঠুলির মধ্যে ভিন্ন এক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে এই প্রযুক্তি৷ মেলায় এক দর্শক এক ভিআর চশমা পরে ডিজিটাল অ্যাডভেঞ্চারের জগতে নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছেন৷
-
মোবাইল দুনিয়ায় নতুন প্রবণতা
এবার পঞ্চম গিয়ারের প্রস্তুতি
মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি ফাইভ-জি প্রযুক্তি ব্যাপক আকারে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি পথে নামাতে সাহায্য করবে৷ সৌদি টেলিকম নোকিয়া কোম্পানির সাহায্যে এমনই একটি গাড়ি সৃষ্টি করেছে৷ গাড়ি সহ অনেক যন্ত্রের মধ্যে ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ প্রযুক্তিকে নতুন মাত্রা দিচ্ছে ফাইভ-জি৷
-
মোবাইল দুনিয়ায় নতুন প্রবণতা
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস
বার্সেলোনা শহরে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির উদ্ভাবনের অন্যতম প্রধান মঞ্চ হয়ে উঠেছে৷ তারা তাদের সেরা পণ্য ও পরিষেবা এখানেই তুলে ধরে৷ পারস্পরিক সহযোগিতার অনেক প্রচেষ্টা এই মেলাতেই শুরু হয়৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী