‘মেয়েটাকে পিটিয়ে ওরা আগুনে ছুড়ে মারতে চেয়েছিল’ প্রতিবেদনটি পড়ে এমন অমানুষ নেই যে তার চোখ দিয়ে জল গড়াবে না? তবে কি কোন দেশে সংখ্যালঘু হয়ে জন্মানো মানবিকতার দিক দিয়ে চরম অপরাধ?
আমার প্রশ্ন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যদি কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে, সেটা কি অমানবিকতার পর্যায়ে পড়ে? ধর্মের পরিচয় হল মনের স্বচ্ছতা ও সহমর্মিতা ভাব প্রকাশের জন্য সৃষ্টি৷ একটি বিশেষ সম্প্রদায় মানুষকে এরকম চরম অবহেলা পর্যায়ে নির্যাতন পৃথিবীর অন্য প্রান্তের মানুষরা কোন প্রতিবাদ করতে পারবে না? অ্যামেরিকা থেকে আপনাদের শ্রোতা ইমিতাজ হাসান এই অমানুষিক বর্বরতার এক ছবি আমাকে পাঠিয়েছেন৷ এই বর্বরতার নমুনা আপনাদের বিচারের জন্য পাঠালাম৷ আপনাদের কুশল কামনায়৷ জৌগ্রাম,বর্ধমান থেকে সুহৃৎ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন এই ই-মেল৷
আজকের দিনে অর্থাৎ ১৯৪১ সালের ২৮ মার্চ নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু জার্মানির বার্লিনে গিয়েছিলেন৷ তাঁর একটি ছবি পাঠালাম৷ এভাবেই লিখেছেন অর্ধেন্দু মুখার্জী, টেগোর পার্ক, দিল্লি থেকে৷
প্রিয় ডয়েচে ভেলে, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: সাংবাদিকদের নতুন আন্দোলন প্রতিবেদন যুগপৎ আশা এবং নিরাশার সঞ্চার করল বুকের মধ্যে৷ সাগর ও রুনির হত্যাকাণ্ডের পর এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেল৷ এখনও বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদছে৷ এক অভূতপূর্ব ঐক্যের চেহারা চোখে পড়েছিল ঐ হত্যাকাণ্ডের বিচারে দাবিতে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আন্দোলনের মধ্যে৷ সাধারণ মানুষের সমর্থনও ছিল এই আন্দোলনের পিছনে৷
কিন্তু পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ভেস্তে যাওয়ায় অনেক মুক্তমনা মানুষের মতো আমিও খুব কষ্ট পেলাম৷ এই পরিস্থিতিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কিছুটা হলেও আশার আলো জাগিয়ে রাখল৷ অন্তত কিছু মানুষ তো ন্যায়বিচারের দাবিতে রাস্তায় থাকল৷ তবে খুব দুঃখজনক এটাই যে, সঙ্কীর্ণ দলীয় রাজনীতি এই ভাবেই বারে বারে মানুষের এগিয়ে চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাই তাঁর সুস্পষ্ট বক্তব্যের জন্য৷ আন্দোলনে থাকল আর না থাকল তা দেখার সময় নেই৷ সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন৷ তাঁদের আন্দোলনের সাফল্য কামনা করি৷ প্রতিবেদনটি সুন্দর লাগল৷
গতকালের দিল্লি গণধর্ষণ মামলার শুনানিতে মিডিয়ার প্রবেশাধিকার শীর্ষক প্রতিবেদনে মামলাটির গতিপ্রকৃতির খবর পেলাম৷ মামলার শুনানির সময় মিডিয়ার উপস্থিতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার নির্দেশকে স্বাগত জানাই৷ ধর্ষিতার মর্যাদা বজায় রেখে মিডিয়া তাঁদের নিজ দায়িত্ব পালন করুক, এটাই চাই৷ মামলাটির বর্তমান পরিস্থিতি সম্বন্ধে আপনাদের ওয়েবসাইটেই প্রথম জানতে পারলাম৷ প্রতিবেদনটি ভালো লাগল৷ সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ এই ই-লম্বা ই-মেলটি লিখে পাঠিয়েছেন কেকা প্রধান, বিপিএইচএ, পাথরডিহি,বাগমুন্ডী, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷
আপনাদের পাঠানো উপহার রেডিও পেয়েছি, খুব ভাল লাগছে৷ ধন্যবাদ জানাই ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগকে৷ রেডিও হাতে পেতে কোন ডাক মাসুল দিতে হয়নি৷ জানিয়েছেন মো.শাহিনুর আলম, শান্তি বেতার শ্রোতা সংঘ, আলতাফনগর, বগুড়া, বাংলাদেশ থেকে৷
পানপাড়া, নদীয়া, ভারত থেকে বন্ধু মঞ্জু দাস ও সুনীল বরণ দাস রেডিও হাতে পেয়েছেন কোনরকম শুল্ককর ছাড়াই একথা তাঁরা জানিয়েছেন ই-মেলে ৷
ওয়েবসাইটে লেখা প্রতিবেদন সম্পর্কে মতামত ও রেডিও'র প্রাপ্তিসংবাদ জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন