‘কেমন আছে জার্মান ছেলে-মেয়েরা'? এই প্রতিবেদনটি দেখে আমার একটাই প্রশ্ন: জার্মানিতে শিশু-কিশোরদের পড়াশোনার ফাঁকে শরীর চর্চার রেওয়াজ আছে? আমার যত দূর ধারণা শরীর চর্চার রেওয়াজে মানসিক ব্যধির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়৷
ভারতে প্রায় সব স্কুলে পড়াশোনার ফাঁকে শরীর চর্চার বিধির জন্য ব্যবস্থা আছে, যার ফলে এই শরীর চর্চার জন্যই আমরা অনেক সময়ে মানসিক ব্যধির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাই৷ তাই আমার জার্মান কিশোর-কিশোরীদের কাছে অনুরোধ তারা যেন পড়াশোনার ফাঁকে নিয়মিত শরীর চর্চার অভ্যেস করে, তাহলেই মানসিক ব্যধি থেকে দূরে থাকা সম্ভব৷ এই অনুরোধ করেছে জৌগ্রাম, বর্দ্ধমান থেকে আমাদের কিশোরী বন্ধু মধুমিতা ব্যনার্জি৷
-
মেয়ে বলে কি বক্সিং-এ মানা ?
সবকিছু বালির বস্তায় ঝেড়ে ফেলতে পারি
জোবায়দা মুরাদ খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করে৷ তাই সে প্রায় প্রতিদিনই ট্রেনিং-এ যায়৷ জোবায়দা মনে করে, বক্সিং করলে সব কাজেই গতি বাড়ে৷ শুধু তাই নয়, শক্তি এবং মনোযোগও বাড়ে৷ কারণ বক্সিং-এর সময় খুবই মনোযোগী হতে হয় তাকে৷
-
মেয়ে বলে কি বক্সিং-এ মানা ?
ভবিষ্যতের স্বপ্ন – ডাক্তার হবে
জোবায়দা বার্লিনের নয়ক্যোলন পাড়ায় থাকে৷ এই এলাকার ৪০ শতাংশ মানুষই অভিবাসী৷ জোবায়দার পরিবার এসেছে তুরস্ক থেকে৷ ১৫ বছরের এই মেয়েটি হাইস্কুলে পড়ে৷ স্বপ্ন, ভবিষ্যতে একজন ভালো ডাক্তার হবে৷
-
মেয়ে বলে কি বক্সিং-এ মানা ?
মা ও মেয়ে
জোবায়দার মা কোনোভাবেই বুঝতে পারেন না, এতো রকমের খেলাধুলা থাকতে তাঁর মেয়ে কেন বক্সিং-এ আগ্রহী৷ তিনি মনে করেন, বক্সিং ছেলেদের খেলা৷
-
মেয়ে বলে কি বক্সিং-এ মানা ?
বখাটেদের থেকে দূরে থাকি
এতোটুকু বয়সেই জোবায়দা বুজতে পেরেছে, উঠতি বয়সি বখাটে ছেলেদের কাছ থেকে নিজেকে বাঁচাতে হলে শুধু মনের দিকে থেকে নয়, শারীরিকভাবেও শক্ত হতে হবে৷ তাই সে বক্সিংকেই বেছে নিয়েছে৷
-
মেয়ে বলে কি বক্সিং-এ মানা ?
ভালো থাকতে হলে, ভালো খেতে হবে
জোবায়দা বক্সিং করতে গিয়ে শিখছে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট থাকতে হলে নানা রকম পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি প্রচুর ফল ও সবজি খাওয়া প্রয়োজন৷ যা ওর বয়সি ছেলেমেয়েদের খেতে তেমন একটা লক্ষ্য করা যায়না৷
-
মেয়ে বলে কি বক্সিং-এ মানা ?
ফাস্টফুড
ওর বন্ধুরা সাধারণত ফাস্টফুড খেতেই বেশি পছন্দ করে, ফলে বেশিরভাগ বন্ধুই বেশ মোটা৷
-
মেয়ে বলে কি বক্সিং-এ মানা ?
পরিবারের সাথে মধুর সম্পর্ক
নিজের যে কোন সমস্যা নিয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন, যা সাধারণত খাবার টেবিলেই হয়ে থাকে৷
-
মেয়ে বলে কি বক্সিং-এ মানা ?
‘আমিও এদেশেরই একজন’
‘অভিবাসী পরিবারের জন্ম হয়ে এবং সেরকম একটি পরিবেশে বসবাস করে জোবায়দা চায় স্কুলের অন্যদের মতো সাধারণ জীবনযাপন করতে এবং অবসর সময়ে কিছুটা কাজ করে নিজের হাত খরচ জোগাড় করতে৷
-
মেয়ে বলে কি বক্সিং-এ মানা ?
টিনএজার-দের প্রতি জোবায়দার পরামর্শ
জীবনে কিছু পেতে চাইলে নিয়ম মেনে সময়মতো কাজ করতে হবে৷ সবকিছুরই ট্রেনিং দরকার. বক্সিং-এর মধ্য দিয়ে সে সেটা করতে পারছে৷ যা নাকি কিছুদিন আগেও তার পক্ষে করা সম্ভব ছিলোনা৷ সব বয়সেই সমস্যা আসে, যা স্বাভাবিক৷ তাই নিজের পছন্দমতো উপায় বেছে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে৷ ‘আমি রাগ, দুঃখ ভোলার জন্য বক্সিংকেই বেছে নিয়েছি’৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
‘পাঠক ভাবনা'-য় আশিক ইকবাল টোকনের মেলটি পড়ে একটু ব্যথিত হলাম, কারণ উনি বক্তব্য রেখেছেন ডিজিটালাইজেসন করলেই কি ফিরে পাওযা যাবে হারানো অহংকার? এই প্রসঙ্গে বলি, ওপারে খুইয়ে আসা এপারে কিছু সংখ্যক বাঙালির জন্ম দুঃখ কোনোদিন ঘুঁচবে না৷ যদি তারা জন্মভিটার টানে ওপারের কিছু চ্যানেল বিনোদনের মাত্রা হিসাবে বেছে নেন তাতে দোষ কোথায়? তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি কেউ কূটনীতির জালে জড়িয়ে ভাগাভাগী করতে পারবে না৷ সেইমতো এই পারের কিছু বাঙালি যদি ঐপারের বিনোদনের চ্যানেল পছন্দ করে তাতে কার কি এসে যায়? তাই বলছিলাম বাঙালি জাতি জনম দুঃখি৷ বিনোদনের মাধ্যমে যদি একটু শান্তির নীড় খুঁজে পায় তাতে কার কি এসে যায়? সুহৃত ব্যন্দ্যপাধ্যায়, বর্ধমান থেকে লিখেছেন এই ই-মেলটি৷
শুভেচ্ছা নিবেন৷ ফেসবুকে ভালো কমেন্ট করার জন্য যে পুরস্কার পাঠিয়েছেন সেটা আমি পেয়েছি কোনো শুল্ককর ছাড়াই৷ তবে কিছু শ্রোতাবন্ধুর ৩৮০ টাকা ভ্যাট লেগেছে বলে আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন৷ ডা.এস এম এ হান্নান, পাবনা৷
- ধন্যবাদ সবাইকে৷ গতকাল বন্ধুদের কাছ থেকে বেশকিছু ই-মেল পেলেও আজ কিন্তু সেভাবে সাড়া পাইনি৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ