আলতাফ নগর, বগুড়া থেকে শাহিনূর আলম৷ ঢাকার বাসাবো থেকে আলতাফ হোসেন৷ রাজবাড়ি থেকে ফাইমুল হাসান৷ নাগের পাড়া, বর্ধমান থেকে অজয় সরকার৷ দুবাই থেকে লুৎফর রহমানসহ অনেকে৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
ঈদ মুবারক
প্রায় এক মাস রোজা পালনের পর আসে ঈদ-উল-ফিতর৷ মুসলমানদের দুটি বাৎসরিক ঈদ উৎসবের একটি এটি৷ এই দিনটি তাই ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ভালোভাবে উদযাপনের চেষ্টা করেন৷ ঢাকায় শুক্রবার ঈদের জামাতে অংশ নেয়া এক নারীর ছবি এটি৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জাতীয় মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়৷ ৯ই আগস্ট ঈদের দিন তোলা এই ছবিটি জাতীয় মসজিদের৷ মুসল্লিদের সুবিধার্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাধিক ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
চাঁদ দেখে দিন নির্ধারণ
সাধারণত আরব এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে ঈদ উদযাপনের একদিন পর বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ঈদ পালন করা হয়৷ এই ধর্মীয় উৎসবের দিন নির্ধারণ করা হয় চাঁদ দেখার ভিত্তিতে৷ ছবিতে ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ছেন মুসলমানরা৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
গান দেয় পূর্ণতা
পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল, বিশেষ করে বাংলাদেশে ঈদের একটি গান অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ ঈদের আগের রাত থেকে টেলিভিশন, রেডিও থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের দোকান, মার্কেট সর্বত্র বাজতে শুরু করে, ‘‘...রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ৷’’ এই একটি গানই ঈদ-উল-ফিতরের জানান দিতে যথেষ্ট৷ ছবিতে কলকাতার ঈদ জামাতে অংশ নেওয়া মুসলিম নারীদের দেখা যাচ্ছে৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
কবি নজরুলের কালজয়ী গান
উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ‘‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় ও আনন্দের উৎসব ঈদ-উল-ফিতর নিয়ে বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কালজয়ী গান৷ বাঙালি মুসলমানের ঈদ উৎসবের আবশ্যকীয় অংশ৷ কবির শিষ্য শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ-এর অনুরোধে ১৯৩১ সালে কবি নজরুল এই গান রচনা ও সুরারোপ করেন৷’’
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
সবার বাড়িতেই দাওয়াত
ঈদের দিন প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে যেতে প্রয়োজন হয় না কোন দাওয়াতের৷ আধুনিক শহুরে জীবনে প্রতিবেশীদের মধ্যে তেমন সখ্যতা না থাকলেও ছোট শহর, মফস্বল আর গ্রামে ঈদের জামাতের পরই প্রতিবেশীদের বাড়িতে বেড়াতে যান ছেলে, বুড়ো সবাই৷ কারো বাড়িতে ঈদের পায়েস, কারো বাড়িতে মাংস-পরোটা কিংবা পোলাও – ঈদের দুপুরটা এভাবেই কেটে যায়৷ ছবিতে কলকাতায় ঈদের জামাত শেষে মিষ্টি কিনছেন মুসল্লিরা৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
দিনের বেলা বিক্রি নয়
ঈদ-উল-ফিতর এর আগের একমাস বাংলাদেশে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে খাবার বিক্রি একরকম বন্ধই থাকে৷ রাস্তার পাশের খাবার হোটেলগুলো ঢেকে দেওয়া হয় কালো পর্দায়৷ তবে সূর্যাস্তের খানিক আগে থেকে শুরু হয় খাবার বিক্রি৷ ঢাকায় তোলা এই ছবির মতোই ইফতারির পসরা সাজিয়ে রাস্তার পাশে বসেন অসংখ্য দোকানি৷ বিক্রিও হয় প্রচুর৷ ঈদের দিন থেকে পরের এগারো মাস আর এই বাণিজ্য দেখা যায়না৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
লম্বা প্রস্তুতি
রমজানের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে মূলত ঈদের প্রস্তুতি শুরু হয়৷ নতুন পোশাক কেনার জন্য মার্কেটে ভিড় করেন মুসলমানরা৷ এ সময় দোকানগুলোতে দেখা দেয় উপচে পড়া ভিড়৷ আফগানিস্তানসহ অনেক দেশে দোকানিরা ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বিশেষ অফার দিয়ে থাকেন৷ মিষ্টি এবং শুকনো ফল ঈদ উপহার হিসেবে আফগানিস্তানে বেশ জনপ্রিয়৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
যানবাহনে ভিড়
রমজানের শেষ সপ্তাহে যানবাহনেও সৃষ্টি হয় ব্যাপক ভিড়৷ এ সময় পরিবার, পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে শিকড়ের টানে ঢাকা ছাড়েন অনেক মানুষ৷ ঈদের ছুটিও বেশ লম্বা হয়৷ (ফাইল ফটো)
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
পরিবারের সঙ্গে প্রার্থনা
জার্মানিতে ঈদের সকালে সাধারণত পুরো পরিবারই মসজিদে চলে যান৷ অধিকাংশ মসজিদে নারীর নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে৷ আর নামাজের পর সবাই মিলে মসজিদেই ঈদের খাবার খান৷ এরপর বাংলাদেশসহ অন্য অনেক দেশের মতো জার্মানিতেও কবরে পরিদর্শনে যান অনেক মুসলমান৷ ঈদের দিন পরিবারের মৃত সদস্যের কবর জিয়ারত করেন তারা৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
উৎসব একই, নাম অনেক
জার্মানিতে ঈদ মূলত ‘বায়রাম’ অথবা ‘সুকারফেস্ট’ নামে পরিচিত৷ বায়রাম শব্দটি এসেছে তুরস্ক থেকে, এর অর্থ ছুটি৷ আর সুকারফেস্ট-এর বাংলা অর্থ হচ্ছে মিষ্টি উৎসব৷ তবে মুসলমানদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবটি বাংলাদেশ, ভারতসহ আন্তর্জাতিকভাবে ঈদ-উল-ফিতর হিসেবেই পরিচিত৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম / রেচেল বেগ
-আপনাদের সবাইকে আবারো ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমরা সবাই৷ আর যারা ই-মেল এবং ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ৷ এই বিদেশের মাটিতে আপনাদের ‘শুভেচ্ছা বার্তা' আমাদের জন্য অনেক আনন্দ বয়ে এনেছে৷ দিনটি সবার সুন্দর কাটুক, আনন্দে কাটুক-আমাদের একান্ত কামনা৷
তানজানিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উপর পরপর দুদিন দুটি লেখা ‘বিজ্ঞান পরিবেশ' বিভাগে পড়ে ভালো লাগল৷ সুদূর আফ্রিকার এই দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল হকিকত সম্বন্ধে কিছুটা জানতে পারলাম৷ আজকের তানজানিয়ায় কার্যকর কীটনাশক মেশানো মশারি প্রতিবেদনটি বেশ ভালো লাগল৷ প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর – এই আপ্তবাক্যটিকে স্মরণে রেখে মশারি ব্যবহারই ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে বড় হাতিয়ার হতে পারে৷ তানজানিয়ায় যে কীটনাশক মেশানো মশারি তৈরি হচ্ছে, তাতে পাঁচ বছর কীটনাশকটি সক্রিয়ভাবে কাজ করে বলে জানলাম৷ এ রকম মশারি আমাদের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও উত্তরবঙ্গের ম্যালেরিয়াপ্রবণ অঞ্চলগুলিতে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করতে পারলে মানুষ উপকৃত হবে৷ আশা করি ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন৷ প্রণাম নেবেন৷ অন্বেজা মাজি প্রযত্নে – ধীরেন্দ্রনাথ মাজি, শিং ভাঙ্গা মোড়, গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া থেকে৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন