পাঠক জলিলুর রহমান লিখেছেন, ‘‘মিয়ানমারকে শুধু বাংলাদেশ কেন সারা বিশ্বেরই চাপ দেয়া উচিত, সেই সাথে রোহিঙ্গারা যেন বেঁচে থাকে দ্রুত তারও ব্যবস্থা করা উচিত৷''
আর আল হাবিবের মতে মিয়ানমার সরকারকে বাংলাদেশের বলা উচিত, ‘‘হয় আরাকান আমাদের দাও, না হয় অন্য সবার মতো তাদের পূর্ণ অধিকারসহ স্বাভাবিকভাবে বাচঁতে দাও৷''
তবে দেওয়ান কিবরিয়া চান রোহিঙ্গারা যেন তাঁদের নিজের দেশে থাকার এবং অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ করেন আর সে যুদ্ধে যেন অন্যান্য দেশ তাদের সাহায্য করে৷
অন্যদিকে ইউনুস আহমেদের প্রশ্ন, ‘‘যুগযুগ ধরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা স্বজন হারিয়ে কাঁদছে, এ কান্নার শেষ কোথায়?
-
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
সহিংসতা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছে৷ গৃহহীন হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার জন৷ অক্টোবরের ২৭ তারিখে তোলা এই ছবিতে ঐ রাজ্যের একটি গ্রামের বাজার দেখা যাচ্ছে, যেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল৷ শিশুরা সেখান থেকে বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করছে৷
-
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
পালিয়ে বাঁচা
সহিসংতা থেকে বাঁচতে নভেম্বরের ১৯ থেকে ২১ তারিখ শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীরা৷ উপরের ছবিটি ২১ নভেম্বরের৷ কক্সবাজারের কুটুপালাং শরণার্থী কেন্দ্রে বসবাসরত রোহিঙ্গা নারীরা নতুন আসা শরণার্থীদের দেখছেন৷
-
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
নতুন শরণার্থী
মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে কুটুপালাং শরণার্থী কেন্দ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন নতুন শরণার্থীরা৷
-
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
ধরা পড়ায় কান্না
অবৈধভাবে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হওয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা তাদের ধরেছে৷ মুসলিম নারী ও তাঁর সন্তানরা তাই কাঁদছেন৷
-
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
অপেক্ষা
কুটুপালাং ক্যাম্পে ঢোকার অপেক্ষায় নতুন আসা রোহিঙ্গারা৷
-
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
সন্তানসহ মা
মুসলিম এই রোহিঙ্গা নারী তাঁর সন্তানকে নিয়ে কুটুপালাং শিবিরে ঢোকার অপেক্ষায় আছেন৷
-
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
শরণার্থী শিশু
কুটুপালাং শরণার্থী কেন্দ্রের রোহিঙ্গা শিশুরা স্কুলে পড়াশোনার ফাঁকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে৷
-
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
আদি বাসিন্দা
কুটুপালাং ক্যাম্পে নিজেদের বাড়িতে শিশুরা৷
-
বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের কথা
বাড়ির আঙিনায়
একজন রোহিঙ্গা নারী তাঁর সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে কুটুপালাং শরণার্থী শিবিরে তাঁর বাড়ির সামনে বসে আছেন৷
কামরুল আহমেদ দুঃখ করে লিখেছেন, নির্যাতিত কিছু মানুষকে বাংলাদেশ জায়গা দিতে পারলো না, সামান্য মানবতা দেখাতে পারলো না, এটাই কি মুসলমানের পরিচয়? তিনি আরো জানিয়েছেন, মুসলমানদের মনে রাখা উচিত যে আমাদের নবীকে মদিনায় আশ্রয় দিয়েছিল কিন্তু খ্রিস্টানরা৷
পাঠক চামেলি আক্তারও কামরুল আহমেদের সাথে একমত৷
রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারকে যে সর্বোচ্চ চাপ দিতে চায় বাংলাদেশ পাঠক সেলিম উদ্দিন, বাবলুসহ অনেকে তা পুরোপুরি সমর্থন করেছেন৷ আর বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে এলে সকলেই ‘সাপোর্ট' করবে বলে ধারণা সোহেলের৷
রোহিঙ্গাদের এই সমস্যা সমাধান করার জন্য বাংলাদেশকেই বেশি উদ্যেগী হতে হবে বলে মনে করেন হাফেজ সাইফুল ইসলাম৷
রোহিঙ্গাদের কষ্ট পাঠক কেএমবি মনি'র মনকে এতটাই নাড়া দিয়েছে যে, তিনি মনে করেন, শান্তিতে নোবেল পাওয়া অং সাং সুচির নোবেল প্রাইজ কেড়ে নেয়া উচিত৷
অন্যদিকে ‘নিজের দেশের সমস্যার সমাধান যারা করতে পারে না, তাদের আবার পরের জন্য দরদ উপচে পড়ছে'-এই মন্তব্য করেছেন অনিক বিশ্বাস৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী
-
বাংলাদেশে শরণার্থী, বাংলাদেশের শরণার্থী
বাংলাদেশ নবম
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর ‘গ্লোবাল ট্রেন্ডস-২০১৩’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলছে, বিশ্বের শরণার্থী আশ্রয়দাতা দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান নবম৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের অর্থনীতির তুলনায় ধারণক্ষমতার দিকে থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর নবম শরণার্থী আশ্রয়দাতা দেশ৷
-
বাংলাদেশে শরণার্থী, বাংলাদেশের শরণার্থী
কতজন শরণার্থী?
দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশে দুটি সরকারি শরণার্থী শিবিরে ৩০ হাজারের মতো মিয়ানমারের (রোহিঙ্গা) শরণার্থী বসবাস করছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিবেদন৷ শিবিরের বাইরে আছে আরও দুই থেকে পাঁচ লাখ অনিবন্ধিত ব্যক্তি৷
-
বাংলাদেশে শরণার্থী, বাংলাদেশের শরণার্থী
আশ্রয়প্রার্থী
হ্যাঁ৷ বাংলাদেশেও কেউ কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন৷ ইউএনএইচসিআর ওয়েবসাইটের বাংলাদেশ পাতায় এমন আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা নয়জন বলে জানানো হয়েছে৷ ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সংখ্যাটা এমন ছিল বলে উল্লেখ করা হয়৷
-
বাংলাদেশে শরণার্থী, বাংলাদেশের শরণার্থী
বাংলাদেশের শরণার্থী
উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন৷ অনেকক্ষেত্রে তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পথে রওনা দেন৷ কেউ গন্তব্যে পৌঁছে গ্রেপ্তার হয়ে ফিরে আসেন৷ কেউ বা শরণার্থী পরিচয় পান৷ বাংলাদেশের এমন শরণার্থীর সংখ্যা ৯,৮৩৯ জন৷
-
বাংলাদেশে শরণার্থী, বাংলাদেশের শরণার্থী
বাংলাদেশের আশ্রয়প্রার্থী
উন্নত বিশ্বে কোনোভাবে ঢুকে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার চল অনেকদিন ধরেই চলছে৷ জাতিসংঘের হিসেবে বাংলাদেশের এমন আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ২২,১২৮ জন৷ সংখ্যাটা ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রযোজ্য৷
-
বাংলাদেশে শরণার্থী, বাংলাদেশের শরণার্থী
স্বপ্নের শুরু টেকনাফে
বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার মতো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন অনেক বাংলাদেশি৷ এ জন্য তাঁরা দালালদের অনেক অর্থও দিয়ে থাকেন৷ তাঁদের এই যাত্রা শুরু হয় টেকনাফ থেকে৷
-
বাংলাদেশে শরণার্থী, বাংলাদেশের শরণার্থী
ছোট নৌকা থেকে বড় নৌকায়
টেকনাফ থেকে প্রথমে ছোট নৌকায় যাত্রা শুরু হয়৷ তারপর একসময় মাছ ধরার বড় নৌকা বা কার্গোতে যাত্রীদের তুলে দেয়া হয়৷ সাধারণত অক্টোবর থেকে পরবর্তী পাঁচ মাসকে সমুদ্র যাত্রার জন্য সঠিক সময় বলে বিবেচনা করা হয়৷
-
বাংলাদেশে শরণার্থী, বাংলাদেশের শরণার্থী
খাবার, পানির অভাব
ইউএনএইচসিআর-এর একটি প্রতিবেদন বলছে, যাঁরা সাগর পথে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেন তাঁদের অনেকে খাবার ও পানির অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ এছাড়া দালালরা অনেক সময় তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করে৷
লেখক: জাহিদুল হক