করোনার আক্রমণে সারা বিশ্ব আজ আতঙ্কিত। এই বিষয়টি নিয়ে ডয়চে ভেলের ফেসবুক লাইভ আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন অসংখ্য পাঠক তাদের নানা প্রশ্ন নিয়ে, জানিয়েছেন তাদের আতঙ্কের কথা।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ইটালিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নয় হাজারের বেশি৷ এরই মধ্যে মারা গেছেন ৪৬৩ জন৷ চীনের পর মৃতের সংখ্যা ইটালিতেই সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের পাঠক পাঠক নাহিদ কামাল এসব জেনে বেশ আতঙ্কিত। তিনি লিখেছেন, ইটালি যা পারে নাই, বাংলাদেশ সেটা কিভাবে করবে? বাংলাদেশের একটা ভালো থার্মাল স্ক্যানারও নাই। অলরেডি মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশের দাম ৩০-৫০ ভাগ বেড়ে গেছে।
তবে যারা আক্রান্ত তাদের মাস্ক পরা জরুরি, কিন্তু পাঠক সোহেল রানার মনে করছেন কে আক্রান্ত সেটা যেহেতু প্রথম দিকে জানার উপায় নেই, তাই সকলেরই মাস্ক পরা জরুরি বলে মনে করছেন তিনি।
ইটালি বা অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কি আগামী ৭/১০ দিনের ভিতর সব স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে? পাঠক সজীবের প্রশ্ন।
বাংলাদেশের সরকার যেন প্রতিটি নাগরিককে ঘরে ঘরে ফ্রি মাস্ক পৌঁছে দেয় সেই বিষয়ে মিডিয়াগুলোকে এ বিষয়ে তুলে ধরার অনুরোধ করেছেন। পাঠক মামুন তো করোনার ব্যাপারে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগকে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত মনে করছেন?
এদিকে আজমল হোসেন কিন্তু বাংলাদেশে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পক্ষে।
ইটালির ভয়াবহ অবস্থা জানার পর অনেকেই জার্মানিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ করোনা ভাইরাসে কতটা আক্রান্ত জানতে চেয়েছেন।
আর পাঠক সুমির প্রশ্ন , কেউ অসুস্থ হলে নিজ বাসায় একটা আলাদা ঘরে আইসোলেটেড থাকা কতোটা যুক্তিসঙ্গত সেটা।
আরশাদ জামিন নিজের দেশ নিয়ে আতঙ্কিত। তাই ডয়চে ভেলেকে তিনি বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আলোচনা করার অনুরোধ করেছেন।
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: খালেদ মুহিউদ্দীন