‘‘ডয়চে ভেলে সব সময় শ্রোতা-দর্শকদের বিমোহিত করছে নানা তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করে৷ এই যেমন, ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ সংরক্ষণের তথ্য জানলাম ডিডাব্লিউ-র পাতা থেকে৷ ছবিঘরে দেখলাম পদ্মার ভাঙনের চিত্র...৷''
কথাগুলো চট্টগ্রামের পুরোনো বন্ধু ডা. অসিত কুমার দাশ মিন্টুর৷ তিনি ডয়চে ভেলে বাংলার প্রথম রেডিও সম্প্রচার, অর্থাৎ ১৫ই এপ্রিল ১৯৭৫ থেকে ডিডাব্লিউ-র সঙ্গে রয়েছেন৷ এবং আজও মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে আমাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন৷ এ জন্য তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷
অন্য একটি ই-মেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘মঙ্গলগ্রহের কাছে ভারতের মঙ্গলযান – প্রতিবেনটি পড়লাম৷ পড়ে ভালো লাগল যে, আমাদের প্রতিবেশী ভারত মঙ্গল জয় করতে যাচ্ছে৷ অ্যামেরিকা-রাশিয়া যেখানে একবারে পারেনি, সেখানে ভারত প্রথমবারেই মঙ্গল জয় করতে যাচ্ছে৷ তথ্যপূর্ণ এই প্রতিবেদনটির জন্য ধন্যবাদ ডয়চে ভেলেকে৷''
‘‘বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক – এই শিরোনামে প্রতিবেদনটি অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছি৷ বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক বলে কথা! নিরাপত্তা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, সংস্কৃতি,
পরিবেশ ও শিক্ষাসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব ক্ষেত্রে অগ্রগতি পর্যালোচনা হবে (হয়েছে) বৈঠকটিতে৷
সময়োপযোগী এ সব বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্য আমি বাংলাদেশ-ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ধন্যবাদ জানাই৷ আমি আশা করি, পররাষ্ট্র পর্যায়ের এ বৈঠকের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীর হবে এবং আমাদের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি হবে৷''
এভাবেই লিখেছেন ভাটরা, সিহালী, শিবগঞ্জ, বগুড়া থেকে বন্ধু এম এ বারিক৷ তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘নদী একটি দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷ কিন্তু প্রকৃতি ও মানুষের কার্যকলাপের ফলে বদলে চলেছে পদ্মার গতিপথ আর সমস্যায় পড়ছেন পদ্মাপাড়ের মানুষ৷ ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা পদ্মা নদী৷ গত কয়েক দিনের ভাঙনে এ উপজেলার মানুষ এখন অনেকটাই নিঃস্ব৷ এখনো আতঙ্কে আছেন আরো কয়েক'শ পরিবার৷ তাছাড়া দূষণও বাংলাদেশের নদ-নদীগুলির জন্য একটা বড় সমস্যা৷ একদিকে নদীর উপর নির্ভরতা, অন্যদিকে তার প্রতি অবহেলা৷ নদী আমাদের নানাভাবে উপকারে আসে৷ অথচ তারপরেও আমার আবার এই নদীকেই ময়লা ফেলার ডাস্টবিন বানিয়েছি৷ কল-কারখানার বিষাক্ত যত বর্জ্য পদার্থ রয়েছে, সব কিন্তু এই নদীই বহন করে৷''
সংকলন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন