জার্মান মিডফিল্ডার বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেয়ায় দেশটির কোচ ইওয়াখিম ল্যোভের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ডয়চে ভেলে এক পাঠক৷ শোয়াইনস্টাইগারকে ফিরিয়ে আনারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷
ডয়চে ভেলে বাংলার ফেসবুক পাতায় ফেরদৌস লিখেছেন, ‘‘জার্মান জাতীয় ফুটবল দলের এক সময়ের অপরিহার্য সেনা বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগারের অবসরের ঘোষণায় চরম দুঃখ পেয়েছি৷ আমার মনে হয় তাঁকে অধিনায়কত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনা খুবই প্রয়োজন৷ জাতীয় দলের কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ নতুনদের খেলাতেই বেশি আগ্রহী৷ মাইকেল বালাক, মিরোস্লাভ ক্লোজা, পোডলস্কি, শোয়াইনস্টাইগারদের ক্লাস নিয়ে কারো প্রশ্ন থাকার কথাও নয়, অথচ প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই দেখেছি কোচ তাদের পূর্ণ সময় খেলতে দেয়নি দিনের পর দিন৷ এর পর লুকাস পোডলস্কি ছাড়া আর কে বাকি আছে অবসর নেওয়ার? এভাবে দুর্ধর্ষ একটি দলকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে৷ ইওয়াখিমকে আর সময় দেওয়া ঠিক হবে না৷ তাঁর সাফল্য আছে মেনে নিচ্ছি, কিন্তু ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের ভয়ংকর দল জার্মানির মতো দাপটে খেলেছে কি দলটি তাঁর সময়ে? ঐ সময়ে দুর্দান্ত দাপটে দল জিততো, ছোট দলগুলো কমপক্ষে ৪-৫ গোলে হারতো, অথচ ল্যোভের সময়ে ১-২ ব্যবধানেও ছোট দলগুলোকে হারানো যাচ্ছে না, যায়নিও৷ খুব কম সময়ে এর চেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড আছে৷ অথচ ল্যোভ আসার আগে জার্মান টিম ২ গোল খেয়ে বসলেও ঘাবড়াতাম না, কারণ জানতাম ঠিকই শোধ করতে পারবে, যা আজ আর পারে না৷ জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের উচিত ল্যোভের বদলে অন্য কোন নামি কোচের চিন্তা করা৷ তাঁর কোচিং ক্যারিয়ার যে খুব সমৃদ্ধ তাও নয়৷ শোয়াইনস্টাইগার, লুকাস পোডলস্কিদের জাতীয় দলে আরো কমপক্ষে দুই বৎসর পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলার সুযোগ করে দিতে ফেডারেশনের কাছে অনুরোধ করছি৷ শোয়াইনস্টাইগারকে ফিরিয়ে আনা হউক৷ জাতীয় দলে তাঁকে অধিনায়কত্ব করতে দিয়ে তার প্রতি সন্মান দেখানো উচিত৷ জার্মান টিমে তাঁর অবদান অনেক৷''
উল্লেখ্য, জার্মানির হয়ে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জেতা শোয়াইনস্টাইগার গত ২৯ জুলাই জাতীয় দল থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেন৷ ২০০৪ সালে জার্মান জাতীয় দলে তাঁর অভিষেকের পর অনুষ্ঠিত চারটি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও তিনটি বিশ্বকাপের প্রতিটি দলেই ছিলেন তিনি৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: জাহিদুল হক