ফেসবুক বন্ধু মো.তুষার বলছেন, ‘‘যতোদিন হাসিনা গদি না ছাড়বে, ততদিন এ অবস্থা থাকবে৷''
রিয়াজ উদ্দিনের মন্তব্য,‘‘ যতদিন হাসিনা আর খালেদার পার্টি বাংলার মানুষ ছাড়বেনা তত দিন বাংলার মানুষ শান্তি পাবেনা৷''
এর উত্তরে ফেসবুক পাঠক ওমর ফারুক চঞ্চল জানিয়েছেন, ‘‘কেউ ভিন্নমত পোষণ করলে সে ভালোনা, সে রাজাকার, সন্ত্রাসী ইত্যাদি৷ আসলে ক্ষমতার লোভই মূল সমস্যা৷''
এমটি ইসলাম দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সত্যিই অতিষ্ঠ৷ তাঁর নিজেরই এখন প্রশ্ন, আর কতদিন ?
রাসেল মিয়া দেশের এই অবস্থা নিয়ে খুবই শঙ্কিত, ভীত৷ তাঁর মন্তব্য,‘‘হায়রে আমরা কি মানুষ না পশু মানুষ? কী রকম রাজনীতি করে৷ কেউ মরছে বোমার আঘাতে আর কেউ মরছে গুলির আঘাতে৷ তাঁর অনুরোধ, প্লিজ, দয়াকরে এইসব থেকে ফিরে আসুন, নয়তো বাংলাদেশ একদিন বিলীন হয়ে যাবে৷''''
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন
পুরনো ঢাকার বাবু বাজারে কাগজ বোঝাই একটি ট্রাকে জ্বলছে দুষ্কৃতিকারীদের দেয়া পেট্রোল বোমার আগুন৷ গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলছে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ৷ ডাকা হচ্ছে হরতালও৷ অবরোধ-হরতালে সবচেয়ে আলোচিত পেট্রোল বোমা৷ শুধু পেট্রোল বোমার আগুনেই পুড়ে মরেছে কমপক্ষে ৬৫ জন সাধারণ মানুষ৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
পুলিশ প্রহরায় চলছে পরীক্ষা
ঢাকার মতিঝিল আইডিয়িাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পুলিশ প্রহরা৷ চলমান এ অবরোধ-হরতালে যাঁরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তার মধ্যে শিক্ষার্থীরা অন্যতম৷ বর্তমানে সারা দেশে চলা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন তাই অনেকটাই অনিশ্চয়তার মুখে৷ টানা অবরোধের মধ্যে ছুটির দিনগুলোতে চলছে পরীক্ষা৷ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
দূরপাল্লার বাস নেই বললেই চলে
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলির ডাকা অবরোধে বাংলাদেশের প্রধান সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিত্ত৷ দুপুর বেলায় তোলা এ ছবিতে মহাসড়কটি প্রায় যানবাহন শূন্য৷ কিন্তু সাধারণ সময়ে এ সড়কটি থাকে যানবাহনে ভরা৷ বাংলাদেশে চলমান অবরোধে দূর পাল্লার গাড়ি চলাচল কমে গেছে বহুলাংশে৷ একের পর এক পেট্রোল বোমার ঘটনায় ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাচ্ছেন না অনেক মালিকই৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
বিজিবি-র টহল পর্যাপ্ত নয়
অবরোধের মধ্যে বাংলাদেশের মহাসড়কগুলোয়, মানে ঢাকার বাইরে বিজিবি-র টহল থাকলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য৷ এছাড়া সম্প্রতি রাত ন’টার পরে বাস চলাচলে সকলকে নিরুৎসাহ করার কারণে বাস মালিকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
ঢাকায় অস্বাভাবিক নয় যানজট
বাংলাদেশে চলমান এই অবরোধে ঢাকার ভেতরের সড়কের দৃশ্য অবশ্য আলাদা৷ যান চলাচল অন্যান্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক কম হলেও, অনেক জায়গাতেই যানজট দেখা যাচ্ছে৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসযাত্রীরা
ঢাকার ফার্মগেটে অফিস শেষে গাড়ির অপেক্ষায় বাড়িমুখী মানুষের ভিড়৷ টানা অবরোধে গণ পরিবহন ব্যবস্থা বেহাল হলেও, অর্থাৎ গাড়িঘোড়ার চলাচল কম থাকাতে দুর্ভোগ বেড়েছে অফিসমুখী ও অফিস ফেরত মানুষের৷ অফিসে যেতে বা অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে সাধারণ মানুষ তাই পড়ছেন দুর্ভোগে৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
অবরোধে নদীপথের ভিন্ন চিত্র
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদীবন্দর ঢাকার সদরঘাটের চিত্র এটি৷ গত একমাসেরও বেশি সময়ের এই অবরোধে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উল্লেখযোগ্য বড় কোনো সহিংসতা ঘটেনি নদীপথে৷ তাই নদীপথে যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিকই আছে৷ ঢাকা থেকে প্রধানত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় নৌ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাসগুলো
বিএনপি ও সমমনা দলের জোটসমূহের ডাকা হরতাল-অবরোধে ঢাকার অন্যতম প্রধান বাস স্টেশন গাবতলীর দৃশ্য এটি৷ বেশিরভাগ দূর পাল্লার রুটের বাসই এ স্টেশনে পার্ক করে রাখা৷ হরতাল-অবরোধে দূর পাল্লার বাস চলাচল অনেকাংশেই বন্ধ আছে বাংলাদেশে৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
খদ্দেরহীন এক রেস্তোরাঁ
ঢাকার গাবতলী বাস স্টেশনের খদ্দেরশূন্য মোহাম্মাদীয়া রেস্তোরাঁ৷ অবরোধের কারণে এ রেস্তোরাঁর লোকবল ১৬ জন থেকে ৮ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে৷ বাকি যে আটজন আছেন তাঁদেরও নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতে পারছেন না মালিক৷ গাবতলী স্টেশন থেকে দূর পাল্লার বাস চলাচল কম থাকায় এ রেস্তোরাঁটি দিনের বেশিরভাগ সময় খালি থাকছে৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
বাড়ি ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষ
অবরোধ আর হরতালকারীদের প্রধান লক্ষ্য সড়কে চলাচলকারী বাস আর ট্রাক৷ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যতগুলো হামলার ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগেই যাত্রীবাহী বাস কিংবা ট্রাকে৷ এতে কমপক্ষে ৬০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পোড়ায় ক্ষত শরীর নিয়ে কাতরাচ্ছেন আরো শতাধিক সাধারণ মানুষ৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
কমলাপুর রেল স্টেশনে অপেক্ষায় যাত্রীরা
অবরোধে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল করলেও, সময়সূচি ঠিক রাখতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ৷ বিভিন্ন সময়ে অবরোধকারীদের রেল লাইনের ‘ফিশপ্লেট’ খুলে ফেলার কারণে কয়েকটি ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনায় ট্রেনের গতি কমিয়ে চালাতে হচ্ছে৷ তাই বেশিরভাগ ট্রেনই স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কমপক্ষে তিন-চার ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
খেটে খাওয়া মানুষের দুর্দশা
টানা অবরোধ-হরতালে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ফুটপাথের ভ্রাম্যমাণ দোকানদাররা৷ স্বল্প পুঁজির এ সব ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে অনেকেরই৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
পুঁজি ভেঙে চলছে যাঁর সংসার
ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকার ফুটপাথে কম্বলের ব্যবসা করেন গাজীরুল ইসলাম৷ দুপুরবেলা পর্যন্ত এ দিন তাঁর বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৭’শ টাকার একটি কম্বল৷ তাও তার কেনা দামের থেকে ৩০০ টাকা কম৷ লাভ তো দূরের কথা সংসার চালাতে এখন পুঁজি টুকুনিই ভরসা৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রই যখন ভরসা
ঢাকার নবাবপুর থেকে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নিয়ে ফিরছেন এক গাড়ি চালক ও তাঁর সহকারী৷ টানা অবরোধ-হরতালে পেট্রোল বোমার ঘটনা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতা হিসেবে নিজেদের গাড়িতে এখন থেকে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখবেন তাঁরা৷
লেখক: মুস্তাফিজ মামুন/ডিজি
টানা অবরোধ আর হরতালে এ পর্যন্ত ১১৪ জন নিহত হয়েছে৷ তাদের মধ্যে পেট্রোল বোমায় ঝলসে গেছে ৬১ জনের জীবন, গণপিটুনি আর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৩০ জন৷ এসব আর কতদিন?
ফেসবুকে এই পোস্টটি দেখে মন্তব্য করেছেন প্রায় ৫০জন বন্ধু৷ শেয়ার হয়েছে প্রায় ১০০বার৷ আর পোস্ট দেখেছেন, ৫০ হাজারেরও অধিক বন্ধু৷ এ সম্পর্কে পাঠক অভিজিৎ হাওলাদার তাঁর মত জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘যতদিন রাজাকার বিএনপি আর জামায়াত থাকবে ততদিন এ অবস্থাও থাকবে৷
পাঠক জুয়েল জহিরের মতও অনেকটা এরকম৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এটাই বিএনপি জামাতের রাজনৈতিক অধিকার৷''
‘‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে বিরোধী রাজনীতিকদের দমনে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার৷ এমন হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের অব্যাহতিরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷ বিরোধীদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে গণমাধ্যমে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে৷'' বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সম্পর্কে ওপরের মন্তব্যটি করেছেন পাঠক শেখ৷
পাঠক মুশকিল আহসান বাবা নিশ্চিত যে ‘‘এই হত্যার দায় আওয়ামী লীগের নেত্রী এড়াতে পারবেননা৷''
আসাদুল ইসলাম নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী, তিনি মনে করেন নির্বাচন দিলেই সব বন্ধ হবে৷
শামীম তোরাব নিজেই জানতে চান, আর কতদিন চলবে এ অবস্থা?
ফেসবুক পাঠক রুহুল ইসলাম লিখেছেন ‘‘খালেদা জিয়া তো সাতদিন আদালতে গেছেন, নভো থিয়েটার মামলায় গত ৪ বছরে, হাসিনা একদিন ও আদালতে যান নাই, এই কথা কয়জন জানে?''
-
অস্থির বাংলাদেশ
অবরুদ্ধ খালেদা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে আটকে রেখেছে পুলিশ৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, তবে সোমবার তিনি বাইরে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁর গেটে তালা লাগিয়ে দেয়৷ ফলে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গেটের মধ্যেই৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
অবরোধ ঘোষণা
অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন৷ গুলশানের কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আজ আমাদের কালো পতাকা কর্মসূচি ছিল৷ সমাবেশ করতে দেওয়া হয় নাই৷ পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে৷’’
-
অস্থির বাংলাদেশ
খালেদার কার্যালয় ঘিরে পুলিশ
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ ছবিতে পুলিশে একটি গাড়ি রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এভাবে আরো কয়েকটি বালু এবং ইটভর্তি ট্রাকও রাখা হয়েছে৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
গাড়িতে আগুন
রবিবার থেকেই ঢাকায় সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে বিএনপিসহ বিশ দল৷ ঢাকায় একটি সিএনজি এবং মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ছবি এটি৷ বিএনপি সমর্থকরা এটা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
পার্ক করা গাড়িতে আগুন
পার্ক করে রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিচ্ছে বিএনপির সমর্থকরা৷ ছবিটি ঢাকা থেকে তোলা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
রাজপথে সরব আওয়ামী লীগ
পুলিশ সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন৷ বিষয়টি সমালোচনা করে ফেসবুকে সাংবাদিক প্রভাষ আমিন লিখেছেন, ‘‘...নিষেধাজ্ঞা কি শুধু বিএনপির জন্য? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দেখি শহরজুড়ে মিছিল করছে, উল্লাস করছে, গান শুনছে, গান গাইছে৷’’ ছবিতে ঢাকায় বিএনপির এক সমর্থককে পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
‘শান্তির পথে আসুন’
এদিকে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বিএনপি নেত্রীকে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে দাবিতে বিএনপিসহ বিশদল আন্দোলন করেছে, সেই দাবির প্রতি কোন নমনীয়তা দেখাননি তিনি৷ হাসিনা মনে করেন, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা বিএনপির রাজনৈতিক ভুল ছিল৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
‘একতরফা’ নির্বাচন
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি৷ সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোন ভোটাভুটি হয়নি৷ বাকি আসনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ কম৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেটিকে ‘একতরফা’ নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
মো.সুজন মিয়া বাংলাদেশের এই অশান্ত পরিস্থিতির জন্য সরাসরি সরকারকেই দায়ী করেছেন৷ ফকরুল ইসলাম দেশের গণতন্ত্র নিয়ে সন্দীহান৷ তিনি মজা করে জানতে চেয়েছেন, গণতন্ত্র কী ?
আবদুল্লাহেল ফরিদ মনে করেন, ‘‘নির্বাচনের আগে বিএনপি আলোচনায় বসলে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হতোনা৷ এই দুই মাসের মানুষ হত্যার আন্দোলনে বিএনপি জামায়াতের অর্জন৷ আমার তো মনে হচ্ছে, এই তথাকথিত গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন ২০১৯ পর্যন্ত চলবে৷''
অন্যদিকে জেনাত মহল মিশোর বলছেন,‘‘গণতান্ত্রিক জাতি স্বৈরশাসক মেনে নিতে পারেনা...৷''
ফজলে মনির চৌধুরী মনে করেন ‘‘প্রাধান্য দিতে হবে দেশের মানুষের নিরাপত্তাকে'' তিনি আরো লিখেছেন৷ ‘‘প্রতিদিন সাধারণ মানুষ আগুনে পুড়ছে, সন্ত্রাসীদের পেট্রোল বোমায় মানুষের শরীর আগুনে ঝলসে যাচ্ছে৷ রাজনীতির নামে এই সব সন্ত্রাসী কার্যক্রম এখনই বন্ধ করা দরকার৷''
পাঠক অভিজিৎ জানিয়েছেন, ‘‘আওয়ামী লীগ লুটপাটের টাকার ভাগ বিএনপিকে দিলে নাকি একটা লাশও পড়তো না৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন