হারবালকে ‘বিকল্প ওষুধ’ বলবেন না!’ প্রতিবেদনটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম৷ লিভ ৫২ দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে প্রচলিত রয়েছে৷ এটি আয়ুর্বেদিক তথা হার্বাল ঔষধ হলেও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকেরা ব্যাপকভাবে এটি প্রেস্ক্রাইব করে থাকেন৷
ভারতবর্ষে আবহমান কাল থেকে প্রচলিত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে হার্বাল ঔষধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ তাই হার্বাল ঔষধকে বিকল্প ঔষধ না বলে অ্যালোপ্যাথিক পদ্ধতিকেই বরং ভারতের ক্ষেত্রে বিকল্প পদ্ধতি বলা উচিত৷ তবে, অ্যালোপ্যাথি ঔষধের ক্ষেত্রে যেমন প্রথমে মনুষ্যত্বের প্রাণীর উপর এবং পরে মানুষের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে তার কার্যকারিতা ও সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রমাণিত হওয়ার পরই তা ব্যবহৃত হয়, আয়ুর্বেদিক ঔষধের ক্ষেত্রে তা হয়না৷ এক্ষেত্রে যুগ যুগ ধরে চলে আসা ধারণার উপর ভিত্তি করেই হার্বাল ঔষধগুলির প্রয়োগ হয়৷ দ্বিতীয়ত আয়ুর্বেদিক ঔষধের প্রয়োগের ফল অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের মতো তৎক্ষণাৎ পাওয়া যায় না৷ একটা ৫০০মিলিগ্রাম প্যারাসিটামল আধ ঘন্টার মধ্যে জ্বর কমিয়ে দিতে পারে, যেটা কোন হার্বাল ঔষধের দ্বারা সম্ভব হয় বলে শুনিনি৷ তাই একসময় ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত হার্বাল ঔষধ-নির্ভর আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি অ্যালোপ্যাথিকে জায়গা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে৷
তবে বর্তমানে বাবা রামদেব, শ্রীশ্রী রবিশঙ্কর প্রমুখের প্রভাবে এই পদ্ধতি আবার ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে৷ এছাড়া ‘হিমালয়া', ‘ডাবর', ‘বৈদ্যনাথে'র মতো নামী প্রতিষ্ঠানে প্রচুর জনপ্রিয় ভেষজ ঔষধ তৈরি হয়৷ বাবা রামদেবের প্রতিষ্ঠানে তো অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের মতো হারবাল ঔষধগুলিরও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয় বলে শুনেছি৷ যাই হোক আপনাদের প্রতিবেদনটি খুব ভালো৷
ওয়েবসাইটে হল্যান্ডে টিউলিপ ফুলের উপর ‘ছবিঘর'টি সুন্দর লেগেছে, অসাধারণ সুন্দর!
আপনারা আমার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা নেবেন৷ এভাবেই লিখেছেন সুখময় মাজী, গ্রাম ও ডাক – গঙ্গাজলঘাটী, জেলা – বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷
‘নাটকের নাম ‘বহিষ্কারের অভিনেতা-অভিনেত্রী' নিবন্ধটি পড়ে বিয়র্ন বিকারের নাটক ‘ডিপোরেটেশন কাস্ট' সম্বন্ধে জেনে এলভিরার মতো মেয়েদের জন্য বেশ কষ্ট হচ্ছে৷ রোমা উপজাতির এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের যন্ত্রণাটা হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারছি৷ তারা আজ নিজ বাসভূমেই পরবাসী৷ তাছাড়াও জার্মানিতে জন্মে সেখানেই বড় হওয়ায় আজ তাদের কাছে জার্মানিই মাতৃভূমি৷ তথাকথিত স্বদেশে ফিরে যাওয়া তাদের কাছে নির্বাসনেরই সামিল৷ জার্মান ও কসোভো সরকারের এদের বিষয়টি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নয়, বরং মানবিক দৃষ্টিতে দেখা উচিত৷
নাট্যকার এই সমস্যা সবার সামনে তুলে ধরে এক মহান সামাজিক কর্তব্য পালন করেছেন, আর ডয়চে ভেলে তাকে আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিয়ে এল তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে৷ এলভিরাদের প্রতি সহানুভূতি রইল, আর অজস্র ধন্যবাদ রইল ডয়েচে ভেলের জন্য৷ সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ কেকা প্রধান, বিপিএইচএ, পাথরডিহি বিপিএইচসি, পাথরডিহি, বাগমুন্ডী, পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷
-প্রিয় বন্ধু কেকা, গতকাল আপনার পাঠানো মতামতের নিচে নামটি প্রকাশ না হওয়ায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত৷
শান্তনু ঘোষ, কলকাতা, ভারত থেকে লিখেছেন, ডিডাব্লিউ থেকে সব সময় অনেক কিছু জানতে পারি৷ এখানে দেখলাম যে, ব্লগারদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ‘ব্ল্যাকআউট' কর্মসূচি পালন করেছে কয়েকটি বাংলা ব্লগ সাইট৷
আমি ভারতের নাগরিক, কিন্তু এই প্রতিবাদে আমার নৈতিক সমর্থন আছে৷ এটা বুঝতে কারও অসুবিধা হয় না যে, মৌলবাদীরা সারা পৃথিবীতেই শুধু ভয় দেখিয়ে নিজেদের অধিকার কায়েম করতে চায়, কারণ এছাড়া ওদের আর কোন কাজ নেই, ওটাই ওদের রুজি-রুটি৷ ওরা তো আর ভালো ছেলের মতো লেখাপড়া করে না বা ভালো কোন চাকুরিও করে না৷
-প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের লেখা দীর্ঘ ই-মেলগুলোর পুরোটা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া সম্ভব হয়না বলে আমরা দুঃখিত৷ তাই আপনাদের কাছে আমাদের বিশেষ অনুরোধ,আগামীতে ই-মেলের আকার একটু ছোট করলে ভালো হয়৷ ধন্যবাদ সবাইকে৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন